চাঁদ দেখার পর নির্ভর করবে বাংলাদেশে ঈদ কবেহবে।তবে তিথি অনুসারে শুক্রবার ঈদ হবে এ কথা সবার মুখে মুখে।ঈদের খুশিতে নাড়ির টানে সকলে ঘরমুখো।মানছে না কেহ স্বাস্থ্যবিধী।একই সাথে প্রিয়জনদের জন্য নিয়ে আসছে মৃত্যুদূত করোনা।

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষের বাড়ি ফেরার ঢল বয়ে আনছে প্রানঘাতী কভিড-১৯।তারপরেও মানুষ ফিরছে নারীর টানে।
কভিড -১৯শের কারনে ব্যবসা বানিজ্যের বেহাল দশা।ঈদকে সামনে রেখে সরকার দোকানপাট খোলার উপর নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করেছে।সকাল ৮টা থেকে রাত৮টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলার নিয়ম করলেও মানছে না ব্যবসায়ীরা।গভীর রাত পর্যন্ত দোতান খুলে করছে বিক্রিবাট্টা।দোকানে দাঁড়াবার জায়গা পাওয়া কষ্টকর।এরকমের চিত্র বাগেরহাট জেলার সর্বত্র।

বাগেরহাটের সদর বাজারে গিয়ে দেখা গেছে বেশি ভিড় কাপড়,কসমেটিক্স,জুতার দোকানে।শিশু,উঠতি বয়সী মেয়ে ও মহিলারা ক্রেতা।কথা হয় শ্রী মা কালী দোকানের কর্মচারীদের সাথে।

বেচাকেনা বেশির জন্য কথা বলার সময়টুকু নেই।তারপরেও বললো গত ঈদের পর থেকে দোকানে খরিদদার তেমন ছিলো না।কর্মচারীর বিল দিকে হিমসিম খেতে হয় মালিককে।কোন কোন দোকান মালিকতো অনেক কর্মচারীদের ছাড়িয়ে দিছে।এবার রোজার ঈদে আমাদের বিক্রি ভালো।তবে আমরা যতোই বলিনা কেন আনেকে মাস্ক ব্যবহার করছে না।

আজ চিতলমারীতে সরোজমিনে গিয়ে দেখা গেল গতকাল বাগেরহাটের মত ভিড়।কেনা কাটকয় ব্যস্ত ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা।অধিকাংশ লোকেন মুখে মাস্ক নেই।কলিগাতী,বারাশিয়া থেকে আগত ক্রেতা লাইলি বেগম,রোজিনা খাতুন,রহিমা আক্তার, কলেজ ছাত্রী লিপির কাছে কেনা কাটার কথা জিজ্ঞেস করলে বলে কম বেশি সকলের জন্য কিনেছি।মুথে মাস্ক নেই এমন প্রশ্ন করা হলে বলে,চিতলমারীতে করোনা নেই।তাই মাস্ক লাগেনা তবে ব্যাগের মধ্য আছে।

চিতলমারী সদর বাজারের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী অনিক ফ্যাসন, মুন্রি গার্মেন্টস, ব্রাদার্স ফ্যাসন, ফাতেমা গার্মন্টস, লাকী গার্মেন্টসে তিল ধরনের জায়গা নেই।অনিক সাহা,শংকর সাহা সহ অনেক ব্যবসায়ী বলেন ঈদ শুক্রবার হবে,মানুষের হাতে সময় খুব কম তাই কেনাকাটায় ভীড় বেশি।নজর কাড়া ভীড় দেখা গেছে কসমেটিক্সের দোকানে।

ব্যাংকেও ভীড় ছিলো প্রচুর।সোনালী ব্যাংকে মুক্তিযোদ্ধার ভাতা তুলতে গিয়েছিলো ১৪হাজারীর শিহাব তালুকদার।তিনি বলেন কাউন্টারে এতো ভীড় আমার টাকা হাতে পেতে ৩(তিন)ঘন্টালেগেছে।পুরুষ,শিক্ষক,মহিলাদের জন্য তিনটি কাুন্টার থেকে আলাদা আলাদা টাকা দিচ্ছে তার পরেও ভীড় অনেক এই প্রতিবেদক ব্যাংকে যেয়ে দেখতে পায়।

নিরাশার কথা হলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেহ কেনাকাটা বা ব্যাংক থেকে টাকা তুলছে না।মাস্কের ব্যবহার অনেকের নেই এ দৃশ্য অহরহ।চিতলমারীর বাইরে থেকে বাড়ী ফেরা লোকজন কভিড-১৯ছড়াবেনা নেই তার কোন নিশ্চয়তা।তবু লোকজন আশায় বুক বেঁধে ঘর থেকে বেড়িয়েছে ঈদের কেনাকাটা করতে।প্রশাসন হার্ড লাইনে থাকলেও সরকারের নিয়ম নীতি মানছে না জনগন।